বাউফলে প্রতিবন্ধী পরিবারে খাদ্য কেড়ে নিয়েছে করোনা : অর্ধাহারে দিনযাপন

বাউফলে প্রতিবন্ধী পরিবারে খাদ্য কেড়ে নিয়েছে করোনা : অর্ধাহারে দিনযাপন

সাইফুল ইসলাম, বরিশাল লাইভ:
বাউফল উপজেলার গোসিংগা গ্রামে প্রতিবন্ধী পরিমল মিস্ত্রী। ৩ সদস্য পরিবার। অর্ধহারে দিন যাপন করছে। যেন করোনা কেড়ে নিয়েছে তিনবেলা খাবার। কত দিন চলবে।  এ নিয়ে সারাদিন দুর্শ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে স্ত্রী মনিকা।
প্রতিবন্ধী পরিমাল মিস্ত্রী। দুই পা ও হাত বাঁকা। রয়েছে গাঁড় বাকা। স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারছে না। থেমে নেই দাম্পত্য জীবন। স্ত্রী মনিকা। পিতার অভাবে পরিবারে প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে সংসার গড়েছে। কোলে রয়েছে ৪ বছরে সন্তান। জীবিকা সংগ্রহে ঘরেবসে দর্জি কাজ করেছে। প্রতিবন্ধী স্বামীর মাসিক ভাতা ৭শ টাকা ও মাসিক ৮শ-৯শ টাকা দর্জির উপার্জন দিয়ে সংসার চলছিল।
করোনা কারনে দর্জি কাজ বন্ধ রয়েছে। এলাকায় কেউ ঘরে আসে না এ কাজের জন্য। মনিকার প্রধান উপার্জন বন্ধ। প্রতিবন্ধী ভাতা ৯ মাস আগে পেেেলও এই মহুর্তে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।  চার বছর বয়সী ছেলে বারবার খেতে চাইছে। কতবার বুঝাবে ক্ষুধার্ত শিশুকে। রাগ করে বলছে-করোনা কেড়ে নিয়েছে প্রতিবন্ধী পরিবারে খাবার।


করোনায় প্রভাবিত গ্রামাঞ্চলে মানুষের জীবন-যাত্রা নিয়ে সরেজমিন মঙ্গলবার সকালে কথা বলতে গিয়ে এমনি চিত্র ফটে উঠেছে।

সাারদেশে যখন ত্রান সহায়তা চলছে। এমনি মুহুর্তে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের দৃষ্টি আাকর্ষন করার জন্য সাংবাদিককে খোঁজছে। বিশ্বাস না হলে দেখে যান। ঘরে খাবার নেই। প্রতিবন্ধী স্বামী ও অবুঝ সন্তানকে নিয়ে কেমন কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।

সকাল বেলা। স্থানীয় দুইজন তরুন সুমন ও রিয়াজকে নিয়ে প্রতিবন্ধী পরিমালের বাড়িতে গেলে করুনটিত্র ফুটে উঠেছে। বাউফল-বগা সড়কের গোসিংগা আফছের গ্রেজের দক্ষিণ দিকে অগোর কবিরাজ বাড়ি। উত্তর ভিটে ছোট টিনশেড ঘর। পরিমাল মিস্ত্রী গৃহে পুরানো সেলাইমেশিন থাকলেও বন্ধ। নেই খাবার। ধার-দেনা নিয়ে কয়েকদিন চলছে। সবার ঘরেই তো অভাব।

সাংবাদিক ক্যামেরা দেখে ছোট ছেলেটি দৌড়ে আসে। খাবার প্রত্যাশা নিয়ে। মা মনিকা ছেলেকে কোলে নিয়ে কানে কানে ফিসফিস করে বলছে। তোমার সাংবাদিক কাকা আসছে ! খাবার পাঠিয়ে দেব। অপেক্ষা কর.........